শনিবার ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

মাহে রমজানে ওমরাহ হজতুল্য

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট

মাহে রমজানে ওমরাহ হজতুল্য

ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা : পৃথিবীর প্রথম নির্মিত ঘর ও প্রথম মসজিদ হলো মক্কায় স্থাপিত কাবাঘর। সেটিই মুসলমানের কিবলা ও হজ-ওমরাহর মূল কেন্দ্র। হজ ও ওমরায় রয়েছে ইবরাহিম (আ.) ও তাঁর পরিবারের অসংখ্য স্মৃতি। ইবরাহিম (আ.) স্ত্রী হাজেরা ও শিশু ইসমাঈলকে আল্লাহর হুকুমে মক্কায় রেখে যান।

 

ইসমাঈল (আ.) পিতার কাজে সহযোগিতা করার মতো বয়সে পদার্পণ করলে আল্লাহর পক্ষ থেকে ইবরাহিম (আ.)-এর প্রতি কাবাঘর পুনর্নির্মাণের নির্দেশ আসে। তিনি পুত্র ইসমাঈল (আ.)-কে নিয়ে কাবাঘর  পুনর্নির্মাণ করেন। ইবরাহিম (আ.)-এর কাবা নির্মাণকালীন পদচিহ্নবিশিষ্ট পাথর আজও সেখানে বিদ্যমান, যা মাকামে ইবরাহিম নামে পরিচিত। হাজেরা দুগ্ধপোষ্য শিশুকে নিয়ে জনশূন্য এই প্রান্তরে অবস্থানকালে কঠিন পিপাসায় পানির খোঁজে সাফা-মারওয়া পাহাড়ে বারবার দৌড়ান।

 

সাতবার ছোটাছুটি করেও পানির সন্ধান না পেয়ে শিশুর কাছে ফিরে আসেন। তখনই জিবরাইল (আ.) শুষ্ক মরুভূমিতে পানির একটি ঝরনাধারা বইয়ে দেন। বর্তমানে এই ধারাই জমজম কূপ।

 

সামর্থ্যবানদের জন্য জীবনে একবার হজ করা ফরজ এবং জীবনে একবার ওমরাহ পালন করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা।

 

তুলনামূলকভাবে ওমরাহ একটি সহজ ইবাদত। তাই সুযোগ ও সামর্থ্য থাকলে ওমরাহ করা উচিত। রমজান মাস ওমরা পালনের সেরা সময়।
ওমরাহর গুরুত্ব ও ফজিলত

 

ওমরাহর মর্যাদা অনেক। এক ওমরাহ থেকে অন্য ওমরাহ পর্যন্ত মধ্যবর্তী সব পাপের কাফফারা হয়ে যায়।

 

ওমরাহ দরিদ্রতা ও গুনাহকে মুছে ফেলে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, এক ওমরাহ অন্য ওমরাহ পর্যন্ত মধ্যবর্তী সব কিছুর কাফফারা। আর মাবরুর হজের একমাত্র প্রতিদান হলো জান্নাত। (বুখারি, হাদিস : ১৭৭৩)

ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমরা বারবার হজ ও ওমরাহ কোরো। কেননা এ দুটি দারিদ্র্য ও গুনাহকে সেভাবে মুছে ফেলে, যেভাবে কর্মকারের হাওয়া দেওয়ার যন্ত্র লোহার ময়লাকে দূর করে থাকে। (নাসায়ি, হাদিস : ২৮৮৭)

রমজানের ওমরাহ নবীজির সঙ্গে হজের মতো

রমজানে ওমরাহ আদায় করা হজের সমান। এক বর্ণনা মতে, রমজানের ওমরাহ রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে হজ আদায়ের সমতুল্য। রাসুলুল্লাহ (সা.) এক আনসারি নারীকে বললেন, আমাদের সঙ্গে হজ করতে তোমার বাধা কিসের? মহিলা বলল, আমাদের একটি পানি বহনকারী উট ছিল। কিন্তু তাতে অমুকের পিতা ও তার পুত্র (মহিলার স্বামী ও ছেলে) আরোহণ করে চলে গেছে। আর আমাদের জন্য রেখে গেছেন পানি বহনকারী আরেকটি উট, যা দ্বারা আমরা পানি বহন করে থাকি। নবী (সা.) বললেন, আচ্ছা! রমজান এলে তখন ওমরাহ করে নিও। কেননা রমজানের একটি ওমরাহ একটি হজ। (বুখারি : ১৭৮২)

 

অন্য বর্ণনায় রাসুল (সা.) বলেছেন, রমজান মাসে একটি ওমরাহ আদায় একটি হজ আদায়ের সমতুল্য অথবা আমার সঙ্গে হজ আদায়ের সমতুল্য। (বুখারি, হাদিস : ১৭৬৪)

 

রমজান মাসে ওমরাহর খরচ ও কষ্ট দুটিই বেড়ে যায়। তার পরও মহৎ ফজিলত পেতে এ মাসেই ওমরাহ পালনের নিয়ত ও চেষ্টা থাকা চাই। আল্লাহ সবাইকে তাওফিক দিন। আমিন।

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ০৬:২৪ | বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com